আপনি কি ফ্রীল্যান্সিং প্রশিক্ষণ এর কথা ভাবছেন ? ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে, কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেননা ভালো একটি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। সেক্ষেত্রে আপানার জন্য ভালো মানের একটি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট হিসেবে ট্রেনিং করাচ্ছি “স্মাট আউটসোসিং স্যালুশন”। এমনও হতে পারে যে আপনি সামান্য ধারণা পেয়েছেন বা অন্য কোন ভাবে আপনি জানেন গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে। কিন্তু আপনার এখন দরকার ভালো একটি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট যার মাধ্যমে আপনি ভালো একটি গাইডলাইন পাবেন আর নিজেকে একজন দক্ষ ও সফল গ্রাফিক্স ডিজাইন হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। “স্মাট আউটসোসিং স্যালুশন” আপনাকে সফলভাবে প্রশিক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
গ্রাফিক্স মানে হচ্ছে ড্রয়িং বা রেখা এবং ডিজাইন মানে পরিকল্পনা বা নকশা।কোন কিছু ছাপানোর জন্য যা আকা হয় তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন।বর্তমানে শুধু ছাপানোর জন্যই আকা হয় না ইন্টারনেটে চিত্রকর্মকে ফুটিয়ে তোলার জন্যও আকা আকি করা হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমানে জনপ্রিয় একটি পেশা।বর্তমানে এর চাহিদা প্রচুর পরিমানে বেড়েই চলছে।ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি কাজ পাওয়া যায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজগুলোকে যদি দুই ভাগ করি তাহলে দেখা যায়:
প্রিন্ট মিডিয়া
বিজনেস কার্ড, ফ্লাইয়ার, বুক কাভার, পোস্টার, প্যাকেট ডিজাইন, বিলবোর্ড, ব্যানার,পেপার অ্যাড, ফটো এডিটিং, ব্রশিউর, লেটারহেড ছাড়াও অনেক কিছু।
ওয়েব মিডিয়া
লোগো ডিজাইন (দুই জায়গাতেই প্রয়োজন হয়), ওয়েব ব্যানার, টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুক এর কাভার ফটো ডিজাইন, UI ডিজাইন, ওয়েব টেমপ্লেট, এপ্স ডিজাইন আরও অনেক।
এখন কথা হলো এই সবগুলো কাজেই কি আপনার জন্য ? না আপনাকে প্রথমে যে কোন একটি বিষয় নিয়ে শুরু করতে হবে। আপনি যখন কাজটি শিখে কাজ শুরু করবেন তখন এমনিতেই বুঝে যাবেন যে আপনাকে কি করতে হবে।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার কি পরিমান আয় করতে পারেন? কাজ যেটাই শিখুন না কেন সবগুলো থেকেই ভালো আয় করা সম্ভব। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক চাহিদা। এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতিমাসে ৫০০-২০০০$ ইনকাম করে থাকে।
শুরু করি, একেবারে প্রথম থেকে। আগে মন ঠিক করুন যে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন। এরপর ধৈয্য ধরা শিখুন। মনে করবেন, এক লাফে, একদিনে বা একমাসে আপনি ডিজাইনার হবেননা। আপনার কমপক্ষে ছয় মাস খেকে এক বছরের নিবিড় সাধনা আর অক্লান্ত পরিশ্রম লাগবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে অমিত কল্পনা। আঁকার হাত, কালারের সেন্স। ধরে নিলাম এগুলো সব আপনার আছে।
এরপরের কাজ হবে আপনার অনেক লেখাপড়ার মনোনিবেশ কড়া। ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা। পারলে কোনো আট শেখা। এগুলো আপনার গ্রাফিক্স শিখতে দারুণ কাজে লাগবে।
আপনার বেশ কিছু ইনভেস্ট লাগবে। সময়ের কথা আগেই বলেছি। লাগবে কিছু টাকা পয়সা। ট্রেনিং বাবদ কিছু যাবে। ভালো ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, নেট দ্রুতগতির লাগবে। যে পিসিতে অ্যাডোব ইলস্ট্রেটরের একেবারে নতুন সংস্করণ (সিসি ২০২১, ফটোশপ, ইনডিজাইন চলবে এমন পিসি হতে হবে।
ধরে নিলাম এগুলো রেডি, এবার তাহলে প্রস্তুত হন।পিসিতে সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করে নিন। যাঁরা আসল পাবেন না, তারা অন্তত ক্র্যাক দেওয়া শিখতে পারেন। সফটওয়্যার যেন ঠিকমতো চলে সেটি নিশ্চিত হন।
মনে রাখবেন, আপনিই আপনার শিক্ষক। আপনি না শিখলে কেউ শেখাতে পারবে না। এজন্য নিজে শেখা গুরুত্বপূণ। শেখার পদ্ধতি:
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখতে হলে প্রথমত আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে । ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাইলে কোন ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করতে পারেন । এতে আপনার পক্ষে বিষয়টা একটু সহজ হবে । আর যদি আপনি নেট ঘেটে বিভিন্ন টিউটোরিয়েল পড়ে শিখতে চান তবেও একটু কঠিন হবে । করণ আপনি এক ভিডিও তে সব কিছু পাবেন না। সেই জন্য আগে ট্রেনিং করুন তার পর Youtube এ টিউটোরিয়েল পড়ে শিখুন তখন আপনি টিউটোরিয়েল বুঝতে পারবেন।
ট্রেনিং করবেন তো কোথায়? আমাদের প্রতিষ্ঠানের গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন। সব প্রতিষ্ঠানেই কিছু না কিছু কোনো না কোনোভাবে শেখায়। কারোটা সহজ আবার কারোটা একটু জটিল। ট্রেনার ভালো হলে খুব ভালো শেখা যায়। পরে নিজে ট্রেনার পর্যন্ত হওয়া যায়।
এখন ঢাকা শহর সহ দেশের আনাচে-কানাচে আনেক গ্রাফিক্স ডিজাইন ট্রেনিং দেওয়া হয়। প্রতিটি শহরে মফস্বলেও আছে ট্রেনিং পাঁচ হাজার ২০,০০০ টাকায় শিখতে পারেন। মানসম্মত ট্রেনিং পেলে এবং নিজের চেষ্টায় নতুন নতুন কাজ করতে থাকুন। শুরুতেই টাকার পেছনে ছুটবেন না। ডিজাইনে পারফেকশন আনার লক্ষ্য হওয়া উচিত। টাকা আপনার পেছনে ছুটবে।
Leave a Comment